১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ এসএমই ফাউন্ডেশন এবং ইউএনএসকাপ-এর উদ্যোগে নারী-উদ্যোক্তাদের সহায়তায় ওয়ান স্টপ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘WE-HELP’ উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
আগারগাঁও পর্যটন ভবনে এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা এবং সম্মানিত অতিথি ছিলেন ইউএনএসকাপ-এর সামাজিক উন্নয়ন বিভাগের লিঙ্গ সমতা ও সামাজিক অন্তর্ভুক্তি শাখার প্রধান Ms. Cai Cai, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী Ms. Gwyn Lewis, বাংলাদেশে কানাডীয় হাইকমিশনের সিনিয়র উন্নয়ন কর্মকর্তা Ms. Rita Houkayem এবং সার্ক বিজনেস কাউন্সিল, বাংলাদেশের সভাপতি মানতাশা আহমেদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৩ অনুযায়ী দেশের ৭৮ লাখের বেশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কুটির, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠান (সিএমএসএমই)-এর সংখ্যা শতকরা ৯৯.৯৩%, অর্থনীতিতে এসব প্রতিষ্ঠানের অবদান শতকরা ২৫ ভাগের বেশি, শিল্পের কর্মসংস্থানে অবদান শতকরা ৮৫ ভাগ। আর এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে নারী উদ্যোক্তা মাত্র ৭.২% আর দেশের মোট এসএমই ঋণের শতকরা মাত্র ৮ ভাগ পান নারী-উদ্যোক্তারা। তবে এসএমই ফাউন্ডেশনের বিতরণকৃত ঋণের শতকরা ২৫-৩০ ভাগ আর সব ধরনের সেবা শতকরা ৭০% পান নারী-উদ্যোক্তারা। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান-বিআইডিএস এর হিসাবে, দেশে নারী-উদ্যোক্তা পরিচালিত প্রতিষ্ঠানে ৮৪ লাখ মানুষ কাজ করেন, যা দেশের মোট কর্মক্ষম মানুষের শতকরা ১০ ভাগ। আর শ্রমে নারীর অংশগ্রহণ শতকরা ৩৬ ভাগের বেশি। এই হার ৪৫ ভাগের উন্নীত করা গেলে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি প্রবৃদ্ধি শতকরা ২ ভাগ বেশি হতো। এসএমই ফাউন্ডেশন এবং UNESCAP যৌথভাবে ‘Catalyzing Women’s Entrepreneurship–Creating a Gender Responsive Entrepreneurial System’ প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এর অংশ হিসেবে নারী-উদ্যোক্তাদের জন্য ‘WE-HELP’ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে, যার মাধ্যমে সারা দেশের নারী-উদ্যোক্তাদের অনলাইনভিত্তিক ব্যবসায়িক তথ্য আদান-প্রদান, নেটওয়ার্কিং, প্রশিক্ষণ, বাজার সংযোগ, ঋণসহ উদ্যোক্তা উন্নয়নে প্রয়োজনীয় তথ্য ও সহায়তা প্রদান করা হবে। এই প্ল্যাটফর্ম থেকে ব্যবসার আর্থিক ব্যবস্থাপনা, পণ্যের মান, আইসিটি ও ডিজিটাল সেবা, দক্ষতা উন্নয়ন, তহবিল ও আর্থিক সহায়তা, শ্রম অধিকার ও কারখানা নিরাপত্তায় আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিতকরণ, কর ও নীতি সহায়তা, নেটওয়ার্কিং ও ম্যাচমেকিং, পণ্যের বাজার, বিপণন সহায়তা ও প্রদর্শনী, ওয়েবিনার ও প্রশ্নোত্তরসহ ২০ ধরনের সেবা মিলবে।