Wellcome to National Portal
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১১ মে ২০২৩

১১ মে ২০২৩ ঢাকায় এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) সদস্যদের জন্য ‘কোভিড-১৯ পরবর্তী পরিস্থিতিতে এসএমই খাতের উন্নয়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ কর্মশালা আয়োজন। প্রধান অতিথি শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি।


প্রকাশন তারিখ : 2023-05-11
১১ মে ২০২৩ ঢাকায় এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) সদস্যদের জন্য ‘কোভিড-১৯ পরবর্তী পরিস্থিতিতে এসএমই খাতের উন্নয়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ কর্মশালা আয়োজন। প্রধান অতিথি শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি।
এসএমই খাতের উন্নয়নে এবং এসএমই নীতিমালা ২০১৯ বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট বাজেট বরাদ্দ প্রয়োজন। আগামী অর্থবছরের বাজেটে এসএমই ফাউন্ডেশনের অনুকূলে অন্তত ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া উচিত বলেও মনে করেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি। ১১ মে ২০২৩ বৃহস্পতিবার রাজধানীর পুরানা পল্টন লেনের পল্টন টাওয়ারে ইআরএফ কার্যালয়ে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) সদস্যদের জন্য এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘কোভিড-১৯ পরবর্তী পরিস্থিতিতে এসএমই খাতের উন্নয়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ইআরএফ সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মীরধা। ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের সঞ্চালনায় কর্মশালায় বক্তব্য প্রদান করেন এসএমই ফাউন্ডেশনের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাহ উদ্দিন মাহমুদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান। এসএমই ফাউন্ডেশনের চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরে ড. মফিজুর রহমান বলেন, লোকবল সংকট এবং নিজস্ব ভবন, ঢাকার বাইরে কার্যালয় ও পর্যাপ্ত তহবিলের অভাবে আমরা উদ্যোক্তাদের চাহিদামতো সেবা দিতে পারছিনা। ঢাকার বাইরে সারাদেশে কাঙ্খিত কার্যক্রম পরিচালনা করা যাচ্ছেনা। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের পণ্য প্রদর্শন কেন্দ্র না থাকায় উদ্যোক্তাদের বাজারজাতকরণে বাধা তৈরি হচ্ছে। এছাড়া শিল্প মন্ত্রণালয় বা অর্থ বিভাগ হতে বাজেট বরাদ্দ না পাওয়া, ফাউন্ডেশনের আয়কর অব্যাহতি প্রাপ্তির লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাথে অমিমাংসিত বিষয় ও এখাতে সরকারের কোনো উন্নয়ন প্রকল্প না থাকাও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিসিস্থি তুলে ধরে তিনি জানান, দেশব্যপী বর্ধিত কর্মসূচি গ্রহণের জন্য ফাউন্ডেশনের এন্ডাউমেন্ট ফান্ড (১,০০০ কোটি টাকা) ক্রেডিট হোলসেলিং কর্মসূচি সম্প্রসারণের জন্য ক্রেডিট ফান্ড (৫০০-১,০০০ কোটি টাকা) বরাদ্দ;
এসএমই নীতিমালাসহ সরকারের বিভিন্ন নীতিমালা বাস্তবায়নে সূনির্দিষ্ট বাজেট বরাদ্দ, ফাউন্ডেশনের নিয়মিত কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য বাজেট বরাদ্দ; সরকারের অর্থায়নে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) অনুমোদন, দাতা সংস্থার অর্থায়নে কারিগরী ও উন্নয়ন প্রকল্প এবং ঢাকায় ফাউন্ডেশনের নিজস্ব অফিস ভবনসহ বিভাগীয়/জেলা পর্যায়ে শাখা অফিস, উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং ইনকিউবিশন এন্ড ইনোভেশন সেন্টার স্থাপন করা প্রয়োজন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান বলেন, কোভিড-১৯ পরবর্তী পরিস্থিতিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন দেশের অর্থনৈতিক প্রতিবেদকরা। এসএমই খাতের উন্নয়নে গণমাধ্যমকে সরকারের এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের পাশে থাকারও আহবান জানান তিনি।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি আরো বলেন, ‘আমরা উন্নত দেশ হওয়ার ক্ষেত্রে এসএমই ফাউন্ডেশন গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে পারে। ইতোমধ্যে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছি। আমাদের উন্নত বিশে^র কাতারে যেতে হলে আমাদের বেকার সমস্যা সমাধান করতে হবে, আমাদের অর্থনীতিকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তা হলে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পারবো। আমাদের দেশে যদি ক্ষুধা দারিদ্র ও বেকার সমস্যা থাকে তবে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ কিন্তু করতে পারবোনা। আমাদের এদিকে নজর রাখতে হবে। তিনি আরো বলেন, এসএমই ফাউন্ডেশন যে দাবিগুলো করেছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তার পরও আপনাদের নিজেদের এগুলো নিয়ে অর্থমন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলতে হবে। এসএমই ফাউন্ডেশন ৫০০ কোটি টাকা চেয়েছে, এটি কোন ব্যপার না। আমার মনে হয় এসএমই ফাউন্ডেশনকে ৫ হাজার কোটি টাকা দেয়া উচিত।’