Wellcome to National Portal
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৩০ জুন ২০২২

২৭ জুন ২০২২ আন্তর্জাতিক এমএসএমই দিবস উপলক্ষ্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা আয়োজন। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সভাপতি মাননীয় শিল্পমন্ত্রী, বিশেষ অতিথি মাননীয় শিল্প প্রতিমন্ত্রী, স্বাগত বক্তব্য রাখেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মোঃ মাসুদুর রহমান।


প্রকাশন তারিখ : 2022-06-27

২৭ জুন ২০২২ আন্তর্জাতিক এমএসএমই দিবস উপলক্ষ্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা আয়োজন। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সভাপতি মাননীয় শিল্পমন্ত্রী, বিশেষ অতিথি মাননীয় শিল্প প্রতিমন্ত্রী,স্বাগত বক্তব্য রাখেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মোঃ মাসুদুর রহমান।

এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ‌‘আন্তর্জাতিক এমএসএমই দিবস ২০২২’ উদযাপন
‘নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও বিদ্যমান উদ্যোক্তাদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছে এসএমই ফাউন্ডেশন‘: ‘আন্তর্জাতিক এমএসএমই দিবস’ উদযাপন অনুষ্ঠানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ
‘এসএমই খাতের উন্নয়নে আলাদা ব্যাংক গঠনের চেষ্টা করবে সরকার’ মাননীয় শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এমপি
‘স্বল্প পুঁজিতে, স্বল্প সময়ে অধিক সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে সবচেয়ে গুরুত্বপূণ ভূমিকা রাখতে পারে এসএমই ফাউন্ডেশন’: মাননীয় শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি

২৭ জুন আন্তর্জাতিক এমএসএমই দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য Resilience and Rebuilding: MSMEs for Sustainable Development। শোভন কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতকে আরো এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে ২০১৭ সালে জাতিসংঘ ২৭ জুনকে ‘এমএসএমই দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে। সেই হিসাবে এ বছর সারা বিশ্বে ষষ্ঠবারের মত দিবসটি পালিত হচ্ছে। জাতিসংঘ বলছে, বিশ্বের ব্যবসার শতকরা ৯০ ভাগ, কর্মসংস্থানের ৬০-৭০ ভাগ এবং জিডিপিতে ৫০ ভাগ অবদান এমএসএমই খাতের। বিশ্বজুড়ে কর্মক্ষম দরিদ্র, নারী, যুবক ও পিছিয়ে পড়ার জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার উন্নয়নের মেরুদ- হিসেবে ভূমিকা রাখছে এমএসএমই খাত। তবে কোভিড ১৯ প্রেক্ষাপটে এই খাতের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে আগের যে কোন সময়ের চেয়ে বেশি সহায়তা প্রয়োজন। তাই এই খাতে উদ্ভাবন, সৃজনশীলতা ও শোভন কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে অর্থায়ন, পণ্য বাজারজাতকরণ, প্রযুক্তি সহায়তা ও ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়ন আরো উন্নত করার সুপারিশ জাতিসংঘের। বাংলাদেশের শতকরা প্রায় ৯৯ ভাগ শিল্প ও ব্যবসা কুটিরসহ এমএসএমই খাতের আওতাভুক্ত। এ খাত দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের ৭০ শতাংশই নিয়ন্ত্রণ করে। মোট শিল্প কর্মসংস্থানের শতকরা প্রায় ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ সৃষ্টি হচ্ছে এসএমই খাত থেকে। এসএমই খাত মোট অভ্যন্তরীণ শিল্পপণ্য চাহিদার শতকরা ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ যোগান দিয়ে থাকে। এ উপলক্ষে জাতীয় পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারণা এবং নানা আয়োজনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক এমএসএমই দিবস পালন করেছে এসএমই ফাউন্ডেশন। ২৭ জুন, সোমবার, সকাল ১১টায় আগারগাঁও পর্যটন ভবনে এ উপলক্ষ্যে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালির আয়োজন করা হয়। এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমানসহ দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা, চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশন প্রতিনিধি ও সরকারি বেসরকারি সংস্থা’র প্রতিনিধিরা এতে অংশগ্রহণ করেন। ২৭ জুন ২০২২ সন্ধ্যা ৭.৩০টায় আগারগাঁও পর্যটন ভবনে এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বঙ্গভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এমপি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মোঃ মাসুদুর রহমান।
মহামান্য রাষ্ট্রপতি বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এসএমই ফাউন্ডেশন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি এবং বিদ্যমান উদ্যোক্তাদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া ফাউন্ডেশন নারী-উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগভিত্তিক ক্লাস্টারগুলোর উন্নয়নের মাধ্যমে আঞ্চলিক কর্মসংস্থান ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করছে। তবে এসএমই উদ্যোক্তাদের অন্যতম প্রধান সমস্যা পুঁজির অভাব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় খুব অল্প সময়ের মধ্যে মাইক্রো ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের মধ্যে ৩০০ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে বিতরণে এসএমই ফাউন্ডেশনের সফলতাকে আমি সাধুবাদ জানাই। ব্যবসাকে একটি মহৎ পেশা উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাতারাতি বড়লোক হওয়ার মানসিকতা ত্যাগ করে ক্রেতার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে ব্যবসা পরিচালনা করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানান মহামান্য রাষ্ট্রপতি।
স্বাগত বক্তৃতায় এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মোঃ মাসুদুর রহমান বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সারাদেশের এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সহজশর্তে ঋণ, দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আমদানি-রপ্তানি ব্যবসায় সৃষ্ট ঝুঁকি এবং কাঁচামালের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিকল্প ব্যবস্থার সন্ধান ও সহায়তা প্রদান জরুরি। এসএমই ফাউন্ডেশন সারাদেশে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করছে, উদ্যোক্তাদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে, উদ্যোক্তাদের ব্যবসাগুলোকে প্রযুক্তি ও আইসিটি বান্ধব করে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বৃদ্ধি করছে, উদ্যোক্তাদের পণ্যের বিক্রয় ও বাজারজাতকরন, প্রচার প্রসারে কাজ করছে, উদ্যোক্তাদেরকে নীতিগত সহায়তা প্রদান করছে, বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের সাথে অ্যাডভোকেসি করছে এবং বিদ্যমান ব্যবস্থায় যেসকল উদ্যোক্তা ব্যাংক হতে ঋণ পায়না, তাদেরকে সহজশর্তে স্বল্পসুদে ঋণ প্রদান করছে। তবে ফাউন্ডেশনের আর্থিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সীমাবদ্ধতার কারণে সকল চাহিদা শতভাগ পুরণ করা সম্ভব হচ্ছেনা, সারাদেশে ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা যাচ্ছেনা। ঢাকার বাহিরে ফাউন্ডেশনের কোন শাখা না থাকায়, সকল অঞ্চলে বিশেষ করে পল্লী অঞ্চলের উদ্যোক্তাদের সেবা প্রদান করা যাচ্ছেনা। এমতাবস্থায়, এসএমই ফাউন্ডেশনের সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়ে সরকারের সদয় মনোযোগ ও সহায়তা দরকার।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এমপি বলেন, দেশব্যাপী দক্ষ এসএমই উদ্যোক্তা তৈরিতে এসএমই ফাউন্ডেশনের প্রয়াস অব্যাহত রয়েছে। বিভাগ, জেলা এমনকি উপজেলা পর্যায়ে ‘উদ্যোক্তা উন্নয়ন’ কর্মসূচি জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের জন্য বিএসটিআই এর সনদপ্রাপ্তি, প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি, উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শন ও বিপণনে সহায়তা দেয়া হচ্ছে। দেশে-বিদেশে বাজার সংযোগ স্থাপনেও ফাউন্ডেশন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। তবে এসএমই খাতের জন্য ঋণপ্রবাহ আরও বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি। রপ্তানি প্রবৃদ্ধি, পণ্য বৈচিত্রকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্য বিমোচনসহ সার্বিক আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিতে এই খাতের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের শতকরা প্রায় ৯৯ ভাগ শিল্প ও ব্যবসা কুটিরসহ এমএসএমই খাতের আওতাভুক্ত। এই খাত দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের ৭০ শতাংশই নিয়ন্ত্রণ করে। মোট শিল্প কর্মসংস্থানের শতকরা প্রায় ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ সৃষ্টি হচ্ছে এসএমই খাত থেকে। এসএমই খাত মোট অভ্যন্তরীণ শিল্পপণ্য চাহিদার শতকরা ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ যোগান দিয়ে থাকে। স্বল্প পুঁজিতে, স্বল্প সময়ে অধিক সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে সবচেয়ে গুরুত্বপূণ ভূমিকা রাখতে পারে এসএমই ফাউন্ডেশন। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্যোক্তা বান্ধব। এ ক্ষেত্রে যুবসমাজ তাদের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে যাতে এসএমই উদ্যোক্তা হতে পারে এ জন্য আমরা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদান করবো।