Wellcome to National Portal
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৭ মার্চ ২০২৪

০৬ মার্চ ২০২৪ এসএমই ফাউন্ডেশন এবং আইটিসি-শিট্রেডস-এর উদ্যোগে ‘THE IMPLICATION OF LDC GRADUATION IN BANGLADESH: WOMEN-LED BUSINESS PERSPECTIVE’ সেমিনার আয়োজন।


প্রকাশন তারিখ : 2024-03-06

০৬ মার্চ ২০২৪ এসএমই ফাউন্ডেশন এবং আইটিসি-শিট্রেডস-এর উদ্যোগে ‘THE IMPLICATION OF LDC GRADUATION IN BANGLADESH: WOMEN-LED BUSINESS PERSPECTIVE’ সেমিনার আয়োজন।


এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার পরিচালক তৌফিকুর রহমান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. আবু ইউসুফ। এসএমই ফাউন্ডেশনের মহাব্যবস্থাপক ফারজানা খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালক মির্জা নুরুল গনি শোভন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সালাহউদ্দিন মাহমুদ। নির্ধারিত বিষয়ের ওপর আলোচনা করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. সলিম উল্লাহ, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক মো. আশিকুর রহমান এবং তরঙ্গ-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনুর ইয়াসমিন।
সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা বলেন, স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নারী-উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা না হলে বন্ধ হয়ে যেতে পারে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এজন্য জরুরি ভিত্তিতে দরকার সরকারের নীতি ও আর্থিক সহায়তা। সেমিনারে জানানো হয়, রপ্তানিতে এখন পর্যন্ত স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রায় ৭০% ট্যারিফ সুবিধা পায় বাংলাদেশ। তবে ২০২৬ সালের ২৪ নভেম্বর বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পর শতকরা ১৪% বা প্রায় ৬০০ কোটি ডলারের রপ্তানি কমে যেতে পারে। এক্ষেত্রে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন নারী-উদ্যোক্তারা। দেশে ৭৮ লাখের বেশি সিএমএসএমই উদ্যোক্তার মাঝে নারী-উদ্যোক্তা শতকরা মাত্র ৭.২১ ভাগ। আর ২০০৮ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশের ব্যাংক ঋণের শতকরা মাত্র তিন থেকে সাড়ে ভাগ পান নারী-উদ্যোক্তারা। এ অবস্থায় নারী-উদ্যোক্তাদের পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি, ব্যবসায় প্রমোশনের জ্ঞানের অভাব, অনানুষ্ঠানিক ব্যবসার পরিমাণ বেশি হওয়া, মানি ট্রান্সফার পদ্ধতি এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, সীমান্ত ও বন্দরে দুর্বল অবকাঠামো, সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে সহনশীলতার অভাব এবং অভিযোগ নিষ্পত্তির সুযোগ না থাকাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে তুলে ধরে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব সমস্যা সমাধানে এসএমই ক্লাস্টারভিত্তিক রপ্তানি সহায়তা বাড়ানো, এসএমই খাতে সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ এবং এসএমই-বহুজাতিক সংস্থা সংযোগ বাড়ানো, গ্লোবাল ভ্যালু চেইনে লিড প্রতিষ্ঠানসমূহের সাথে দেশী এসএমই প্রতিষ্ঠানের সংযোগে সহায়তা করতে সাপ্লায়ার্স উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন, নারী-উদ্যোক্তাদের রপ্তানি প্রস্তুতির লক্ষ্যে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ, সহজ শর্তে অর্থায়ন, পণ্যের মান সনদ নিশ্চিতকরণ, গবেষণা ও উদ্ভাবন এবং নীতি সহায়তার লক্ষ্যে নিয়মিত তথ্য সংগ্রহ ও জরিপের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান বলেন, স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পর রপ্তানি বাড়াতে নারী-উদ্যোক্তাদের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পাশে থাকবে এসএমই ফাউন্ডেশন। এসএমই উদ্যোক্তা বিশেষ করে নারী-উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যবসা সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা এসএমই ফাউন্ডেশনের অন্যতম অঙ্গীকার। এ লক্ষ্যে ফাউন্ডেশনের অ্যাডভাইজরি সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে নতুন ব্যবসা সৃষ্টি, ঋণ সুবিধা প্রাপ্তি, উপযুক্ত প্রশিক্ষণ, পণ্যের বাজার সম্প্রসারণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উদ্যোক্তারা সহায়তা পেয়ে থাকেন। আইসিটি বিষয়ক ই-কমার্স, সোশ্যাল মিডিয়া এবং ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারেও নারী-উদ্যোক্তাদের সহায়তা করতে কাজ করছে এসএমই ফাউন্ডেশন। এসব কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এই সেমিনার আয়োজনে সহায়তা করায় আইটিসি শিট্রেডস এবং ইউকেএইডকে ধন্যবাদ জানান তিনি।