১২ আগষ্ট ২০২১ এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ‘৪র্থ শিল্প বিপ্লবের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ: এসএমই প্রেক্ষিত’ ওয়েবিনার আয়োজন
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের জ্ঞানভিত্তিক জনশক্তি গড়ে তোলা প্রয়োজন: বৃদ্ধি করতে হবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার: এসএমই ফাউন্ডেশনের ওয়েবিনারে আলোচকদের অভিমত
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের জ্ঞানভিত্তিক জনশক্তি গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মোঃ মাসুদুর রহমান। সেই সাথে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বা আইসিটির ব্যবহার বাড়াতে হবে বলেও মনে করেন তিনি। ১২ আগস্ট ২০২১ সকাল ১১টায় এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘ ‘৪র্থ শিল্প বিপ্লবের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ: এসএমই প্রেক্ষিত’ ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোঃ মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের মহাব্যবস্থাপক ফারজানা খান। ওয়েবিনারে মূল পেপার প্রেজেন্ট করেন ফাউন্ডেশনের উপব্যবস্থাপক ইঞ্জিনিয়ার তানভির ফয়সাল। প্যানেল আলোচক হিসেবে ছিলেন এটুআই’র হাবিবুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবটিক্স ও মেকাট্রনিক্স প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারমান ড. শামীম আহমেদ দেওয়ান এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. সজল চন্দ্র বণিক। ড. মোঃ মফিজুর রহমান বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুযোগ কাজে লাগাতে আইসিটি ব্যবহারের বিকল্প নেই। তাই এই বিষয়ে এসএমই উদ্যোক্তাদের সচেতন করতেই এই ওয়েবিনারের আয়োজন করেছেন এসএমই ফাউন্ডেশন।
ওয়েবিনারে জানানো হয়, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বুদ্ধিবৃত্তিক হওয়ায় ব্যবসা বাণিজ্য করার সুযোগ কোনও নির্দিষ্ট ভৌগলিক স্থানে আবদ্ধ থাকবে না। বরং এটি সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে। পণ্য ও সেবা উৎপাদনের টুলস ব্যবহার করে কাঁচামাল, মানব সম্পদ, সময় ইত্যাদির সর্বোত্তম ব্যবহার করে উৎপাদনশীলতা বাড়ানো, পরিবেশ সুরক্ষাসহ সর্বোপরি সবার জন্য মানসম্মত জীবন-যাপনের ব্যবস্থা নিশ্চিতসহ ব্যবসা বাণিজ্যের সুযোগ সৃষ্টি করবে। অনগ্রসর, প্রান্তিক, বিশেষভাবে সক্ষম ও নারীদেরকে ইন্টারনেটসহ বিভিন্ন টেকনোলজিতে দক্ষ করে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে প্রযুক্তির আবিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গে পণ্য ও সেবার উৎপাদন ও বণ্টনের ব্যয় অভাবনীয় হারে হ্রাস পাবে, কারণ মানুষকে সহায়তা করবে মেশিন। তাই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুযোগকে কাজে লাগাতে হলে আমাদের প্রধানতম লক্ষ্য হতে হবে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী সুদক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি। এজন্য এমএসএমই উদ্যোক্তাদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি, প্রযুক্তি আত্তীকরণ ও দক্ষতা উন্নয়ন অপরিহার্য। ওয়েবিনারে ফাউন্ডেশনের বেশ কয়েকজন পর্ষদ সদস্য উপস্থিত থেকে মূল্যবান মতামত ব্যক্ত করেন। দেশের নানা প্রান্ত থেকে প্রায় ৭০ এসএমই উদ্যোক্তা এ ওয়েবিনারে যুক্ত ছিলেন।
উল্লেখ্য, চতুর্থ শিল্প বিল্পব শব্দটির উৎপত্তি ২০১১ সালে, জার্মান সরকারের একটি হাই টেক প্রকল্প থেকে। একে সর্বপ্রথম বৃহৎ পরিসরে তুলে নিয়ে আসেন ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান ক্লস শোয়াব। ২০১৬ সালে প্রকাশিত তাঁর ‘The Fourth Industrial Revolution’ বইটিও ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
মুহাম্মদ মোরশেদ আলম
সহকারী মহাব্যবস্থাপক
এসএমই ফাউন্ডেশন