২০ মে ২০২৪ এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে “Smart Financing for Smart Bangladesh: Possible Solutions for Mainstreaming the Marginal Entrepreneurs” সেমিনার আয়োজন।
প্রধান অতিথি:
জনাব ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি, মাননীয় প্রতিমন্ত্রী, অর্থ মন্ত্রণালয়
সভাপতি:
অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান, চেয়ারপার্সন, এসএমই ফাউন্ডেশন
বিশেষ অতিথিবৃন্দ:
জনাব নুরুন নাহার, ডেপুটি গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক
জনাব সুলেখা রানী বসু, অতিরিক্ত সচিব, অর্থ বিভাগ
সম্মানীয় অতিথিবৃন্দ:
জনাব মোল্লা মিজানুর রহমান, যুগ্ম-প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব), এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই)
জনাব শেখ মোহাম্মদ মারুফ, ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সিটি ব্যাংক পিএলসি
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক:
জনাব আরফান আলী, চেয়ারপার্সন, জয়তুন বিজনেস সলিউশনস ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড
আলোচকবৃন্দ:
জনাব মো. তহুরুল হাসান, হেড অব ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস এন্ড ডিজিটাল সেন্টার, এটুআই)
জনাব মোহাম্মদ জাকিরুল ইসলাম, হেড অব এসএমই স্ট্র্যাটেজি, ইনোভেশন এন্ড নিউ বিজনেস, ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি
জনাব একেএম ফাহিম মাশরুর, প্রতিষ্ঠাতা, বিডি জবস ডট কম
এসএমই ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে ১৯ মে হতে ২৫ মে ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত ‘১১তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা-২০২৪’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে;
এই বৃহৎ আয়োজনের পাশাপাশি ‘Smart Financing for Smart Bangladesh: Possible Solutions for Mainstreaming the Marginal Entrepreneurs’ শীর্ষক আজকের এ সেমিনার;
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থানকে আরও দৃঢ় করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রদত্ত জাতীয় কৌশলগত পরিকল্পনা হলো রূপকল্প ২০৪১;
এ রূপকল্প অর্জনকে দ্রুততর করতে সরকার ঘোষণা করেছে স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প;
স্মার্ট বাংলাদেশ রুপকল্প অর্জনে নির্ধারিত চারটি ভিত্তির মধ্যে অন্যতম স্মার্ট ইকোনমি (Smart Economy) অর্জনে অনেকগুলো নিয়ামকের মধ্যে দেশের এসএমই খাত অগ্রগামী ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা যায়;
তবে সামগ্রিকভাবে বিবেচনা করলে এ খাতের উদ্যোক্তারা বিশেষত প্রান্তিক উদ্যোক্তারা এখনো তাঁদের ব্যবসা পরিচালনা ও সম্প্রসারণে নানা বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন, যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সহজ অর্থায়নের অভাব;
যদিও অনেক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এ খাতের উদ্যোক্তাদের অর্থের চাহিদা পূরণে উদ্যোগী হচ্ছেন যা বাস্তবে চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল;
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এসএমই খাতের উদ্যোক্তা বিশেষত প্রান্তিক উদ্যোক্তাদের জন্য যুগোপযোগী অর্থায়ন মাধ্যম প্রয়োজন;
প্রান্তিক উদ্যোক্তাদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে এ খাতে ঋণ প্রবাহ বৃদ্ধিতে ব্যাংকিং খাতের পাশাপাশি অন্যান্য বিকল্প সমূহ সম্পর্কে ধারণা জরুরি;
৪র্থ শিল্প বিপ্লবের প্রেক্ষিতে Artificial Intelligence, Data analytics ইত্যাদির মাধ্যমে Auto Credit Scoring করে প্রান্তিক উদ্যোক্তাদের অর্থায়ন জরুরি;
পরিবর্তিত বিশ্বে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলায় উদ্যোক্তাদের আর্থিক রেডিনেস পর্যালোচনা জরুরি;
ব্যাংক ঋণ ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এমনকি আমাদের দেশেও অনেকগুলো বিকল্প অর্থায়ন ব্যবস্থা রয়েছে;
আমাদের এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য এসকল বিকল্প অর্থায়ন ব্যবস্থা একাধারে যেমন প্রথাগত ব্যাংক ঋণ ব্যবস্থার ওপর চাপ কমাবে, ঠিক তেমনি উদ্যোক্তারা এর সুফল ভোগ করতে পারবেন, যা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে;
দেশে এখন নানা ধরণের বিকল্প অর্থায়ন ব্যবস্থা চালু রয়েছে;
যাদের মধ্যে ফ্যাক্টরিং ফাইন্যান্স, ওয়ার্ক অর্ডার ফাইন্যান্স, ওয়্যারহাউজ রিসিপ্ট ফাইন্যান্স, লিজিং, রিস্ক শেয়ারিং, সিকিউরিটাইজেশন, ক্রাউড ফান্ডিং, এঞ্জেল ফান্ডিং এবং স্টার্টআপ ক্যাপিটাল অন্যতম;
স্মার্ট ইকোনমি বলতে প্রচলিত ব্যবস্থার আধুনিকায়ন বা রূপান্তরের মাধ্যমে অর্থনীতি গতিশীল করাকে বোঝায়;
এই আধুনিকায়ন করা হবে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রযুক্তি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবটিক্স, ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি), ব্লকচেইনের মতো অগ্রসর প্রযুক্তির দ্বারা;
কৃষি, শিল্প, শিক্ষাসহ প্রায় সব খাতেই এসব প্রযুক্তিনির্ভর সমাধানের মাধ্যমে অর্থনীতিতে ভ্যালু যোগ হবে। এর ফলে ডিজিটাল অর্থনীতিও দ্রুত বিকশিত হবে;
স্মার্ট ইকোনোমি গড়ার ক্ষেত্রে সরকার জোর দিয়েছে ক্যাশলেস লেনদেন, মাথাপিছু আয় বাড়ানো এবং দারিদ্র্য কমানোতে;
এজন্য কুটির, মাইক্রো, স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ বা ছোট ছোট শিল্পসহ বেসরকারি খাতের ডিজিটালাইজেশনে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে;
বিশেষত প্রান্তিক এমএসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য যুগোপযোগী অর্থায়ন মাধ্যম নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তা অন্যতম বড় চ্যালেন্জ্ঞ হিসেবে গণ্য;
উপরন্তু, স্মার্ট ইকোনমি বাস্তবায়নে পিছিয়ে পড়া এই অংশের অন্তর্ভুক্তি আবশ্যক;
প্রযুক্তির উন্নয়ন, প্রযুক্তিগতভাবে সক্ষম আর্থিক উদ্ভাবন ও ব্যবহারের ফলে এসএমই খাতে শুধু শিল্প উৎপাদনই বৃদ্ধি পাবে না উদ্যোক্তারা আর্থিকভাবে সক্ষম হবে;
প্রযুক্তির উন্নয়ন, প্রযুক্তিগতভাবে সক্ষম আর্থিক উদ্ভাবন ও ব্যবহারের ফলে প্রান্তিক এমএসএমই উদ্যোক্তাদের অর্থনৈতিক অবস্থান আগামীতে অনেক বেশি প্রভাবিত করবে;
প্রযুক্তির বহুমাত্রিক ব্যবহার যেমন, নতুন ফাইন্যান্সিং মডেল, মডেলের প্রয়োগ, অত্যাধুনিক ফাইন্যান্সিং উপাদান উৎপাদন ও সরবরাহ ইত্যাদি প্রান্তিক এমএসএমইদের উন্নীত করে তাদের আনুষ্ঠানিক অর্থনীতিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করার সুযোগ তৈরি করবে;
সরকারের স্মার্ট ইকোনমি বাস্তবায়নে সকল পর্যায়ের উদ্যোক্তা প্রাধান্য পাবে;
প্রান্তিক এমএসইদের কর্ম পরিকল্পনায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনসহ অন্যান্য উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে;
স্মার্ট বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক মানুষগুলোর মেধা, জ্ঞান, প্রযুক্তিনির্ভর সমাজ, অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ বিনির্মাণে মানব পুঁজি হিসেবে বিনিয়োগ করতে হবে;
স্মার্ট অর্থনীতি প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠন এবং ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে;
তবেই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সফলতার সঙ্গে এগিয়ে যাবে অদম্য, অপ্রতিরোধ্য আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ দর্শন।